নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার :
তথ্য জানতে সাড়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩শতাধিক হোটেলের নিকট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার । এই তালিকায় রয়েছে তারকা মানের হোটেল, স্টুডিও এপার্টমেন্ট, আবাসিক হোটেল, রির্সোট, কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রয়েছে।
কক্সবাজারে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেলের মধ্যে মাত্র ১৪টি হোটেলের পরিবেশ ছাড়পত্র এবং দুইটি হোটেলের এসটিপি থাকলেও অন্যরা অবৈধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ ছাড় পত্র ও এসটিপিসহ যাবতীয় তথ্য পেতে এই প্রতিষ্ঠান গুলোতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে জানাগেছে। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে রির্পোট পেশ করার এমন বাধ্যবাদকতা বেঁধে দিলেও কেউই পাত্তা দিচ্ছে না। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের লোকজন তাদের কাছে গেলে নানা তালবাহানা করে এড়ি চলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে হোটেল মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে। এইভাবে বছরের পর বছর চলছে কক্সবাজারের হোটেল গুলো। পরিবেশ আইন না মানায় প্রতিনিয়িত এলাকাই পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাতœক আকার ধারণ করছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে তারকা মানের হোটেল,স্টুডিও এপার্টমেন্ট, আবাসিক হোটেল,রির্সোট, কটেজ ও রেস্টুরেন্টের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ সংশ্লিষ্ট কাগজ পত্র নেই। পরিবেশ ছাড় পত্র, এসটিপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নেই তাদের। এইসব কাগজ পত্র সংগ্রহ করার জন্য মালিক পক্ষকে একাধিকবার তাগেদা দেওয়ার পরেও তাদের তরফ থেকে তথ্যা পেতে কোন ধরণের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এই পর্যন্ত সাড়ে ৩ শতাধিক হোটেলের বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় কাগজ পত্র চেয়ে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানতে চেয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের চৌহদ্দীর বর্ণনা, মালিকের নাম,হোটেল আরম্ভের তারিখ,ছাড় পত্র আছে/নাই, বিনিয়োগের পরিমান, ভনের আয়তন,তলা উচ্চতা, প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডের বিবরণ, হোটেলের বিররণ,রুম সংখ্যা, ধারণ ক্ষমতা, জেনারেটর সংখ্যা,সাব- স্টেশন,কনফারেন্স/হল রুম,লন্ডি/ওয়াশিং মেশিন সংখ্যা, বর্জ্যে ধরণ, কঠিন,তরল,বায়বীয়, শব্দের মানমাত্রা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিবরণ, এসটিপির আয়তন,সেপটিক ট্যাংক আয়তন, সোকওয়েল আয়তন। হোটেল সায়মন ও সী পাল হোটেলে এসটিপি থাকলেও আর কোন হোটেলে এসটিপি নেই। এমনকি অনেকের পরিবেশ ছাড় পত্র নেই। যেটি বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ও পরিবেশ সংরক্ষন বিধিমালা ১৯৯৭এর বিধি৭(২) লঙ্ঘন করার করার শামিল। এতে পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে পরিব্শে ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার মারাতœক ক্ষতি সাধণ করা হচ্ছে।
কক্সবাজার পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু জানান, পরিবেশ আইন না মানায় প্রতিনিয়িত এলাকাই পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাতœক আকার ধারণ করে চলছে। অচিরে এইসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এই আইনের চরম অবমানা হবে। শুধু তা নয় পরিবেশ বিষয়ক কাগজ পত্র মেনে প্রতিষ্ঠান শুরু উচিত মালিক পক্ষের।
পাঠকের মতামত: